বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলেও, গতিপথ পরিবর্তন করে সেটি বাংলাদেশের দিকে আসে কিনা, সেজন্য পর্যবেক্ষণ করছেন বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা।
এই ঝড়ের নামকরণ করেছে সৌদি আরব। আরবি শব্দ জাওয়াদ অর্থ উদার, দয়ালও কিংবা দানশীল।শুক্রবার বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কখন ভূমিতে উঠে আসতে পারে?
স্যাটেলাইট তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, যে গতিতে ঝড়টি এগোচ্ছে, তাতে রবিবার পাঁচই মে দুপুরের পর নাগাদ ওড়িশা বা পশ্চিমবঙ্গে উঠে আসতে পারে।যেভাবে দেখা যাচ্ছে, এটা খুব প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে তারা বলছেন।তবে ঝড়টি এখনো খানিকটা পূর্ব দিকে ঘুরছে। সেটা যদি আবার গভীর সাগরে চলে আসে, তাহলে সেটা আরও শক্তি সঞ্চার করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বাংলাদেশের দিকে আসার ঝুঁকি কতটা?
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ঝড়টি এখনো সাগরে থাকলেও আজ বিকালের দিকে একটি মোড় নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।''সেটি হলে টার্ন নিয়ে হয়তো কিছুটা বাংলাদেশের দিকেও এগোতে পারে। ফলে ভারতের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হলেও কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। এই কারণে আমরা এখনো গভীরভাবে ঝড়টি পর্যবেক্ষণ করছি। আজ রাতের দিকে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।''
আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এখন দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
0 Comments