করোনার বুস্টার ডোজ রোববার বা সোমবার শুরু

 

করোনাভাইরাসের ট্রায়াল বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়ার কার্যক্রম আগামী রোববার বা সোমবার থেকে শুরু হবে।

করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজ নিতে হয় নতুন গবেষণা বলছে, আমাদের শরীর যাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয়, অ্যান্টিবডির মাধ্যমে তা নিশ্চিত করে টিকা। 

প্রথম ডোজ নেওয়ার তিন মাস পর করোনার বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা কমতে শুরু করে। আর দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাস পর তা অনেকটাই কমে যায়। কার্যকারিতা কমে যাওয়ার কারণে ছয় মাস পর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় আগের চেয়ে ১৫ গুণ।

বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘প্রথমে সম্মুখসারির চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের এই বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে।’

জাহিদ মালেক  জানান, দেশের প্রায় ৭ কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। বুস্টার ডোজ দেওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, দেশে ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই। দেশে এখন ৭ লাখ ফাইজার ভ্যাকসিনের টিকা হাতে আছে। আগামী মাসে আরও দুই কোটি টিকা আসবে। সব ভ্যাকসিন মিলিয়ে দেশে এখন পৌনে ৫ কোটি ভ্যাকসিন রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। 

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। 

চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। 

বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।


Post a Comment

0 Comments