শুকনা কাশি হলে করনীয়

 


বুকে কফ জমা বা তীব্র কাশির সাধারণ একটা কারণ হলো শ্বাসনালিতে সংক্রমণ। বিশেষত শীত মৌসুমে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে কফ জমে, শুকনা কাশি হয়। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জ্বর আসে। বেশির ভাগ সময় দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এমন শুকনা কাশি নিজে থেকেই সেরে যায়। কিন্তু অনেক সময় এমন কাশি কয়েক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেলেও কাশি থেকে যেতে পারে। কোভিড-১৯ কিংবা সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে এ রকম দীর্ঘমেয়াদি কাশি থেকে যাওয়ার ঘটনা অনেক রয়েছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন:

শুরুতেই মনে রাখতে হবে, যেকোনো ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। তাই অকারণে এবং অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে মানুষের শরীর ওষুধপ্রতিরোধী হয়ে পড়তে পারে। এতে পরে অন্য কোনো সংক্রমণ সারিয়ে তোলাও কঠিন হয়ে যায়। শুধু কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের কোনো প্রয়োজন নেই। যদি কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের কারণে বুকের এক্স-রেতে নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তবেই অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। তাই সামান্য কাশি হলেই দোকান থেকে কিনে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রবণতা পরিহার করতে হবে।

আবার কাশি হলেই ফার্মেসি থেকে কফ সিরাপ কিনে খাওয়াও স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। বাজারে প্রচলিত কফ সিরাপ অনেক সময় মানুষের শরীরে খিঁচুনি ও ঝিমুনি ভাব আনতে পারে।



কফ সিরাপে হাইড্রোকার্বন থাকে। মূলত বুকব্যথা ও কাশি দমনের জন্য এটা ব্যবহৃত হয়। হাইড্রোকার্বন মানুষের শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এমনকি সালবিউটামল ও মন্টিলুকাস্ট জাতীয় ওষুধও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কারও সেবন করা উচিত নয়।

তাই শীত মৌসুমে শুকনা কাশি প্রতিরোধে কফ সিরাপ খাওয়া ভালো কোনো কৌশল নয়; বরং এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে কিছু উপদেশ মেনে চললে সুফল মিলতে পারে। ১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এ ২. গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। আরাম মিলবে। তবে জেনে রাখতে হবে, গরম পানির ভাপে করোনাসহ অন্যান্য ভাইরাস মারা যায় না। ৩. শুকনা কাশির জন্য গলা খুসখুস করলে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে কুলকুচি বা গার্গল করতে হবে। ৪.শুকনা কাশিতে মুখে লজেন্স, লবঙ্গ কিংবা আদা রাখলে আরাম পেতে পারেন।


Post a Comment

0 Comments