ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি হওয়ার ঘটনা আরো বাড়লো। গতকাল সোমবার ছিল পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। বেশ কয়েকটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই ধাপে বিনা ভোটের চেয়ারম্যান পেতে যাচ্ছে কমপক্ষে ৪২টি ইউপি। কালের কণ্ঠের স্থানীয় নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য মিলেছে। আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে ভোট হবে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ময়মনসিংহের ১২, সিরাজগঞ্জের ১১, যশোরের এক, ঝিনাইদহের তিন, জামালপুরের এক, ফেনীর চার, চট্টগ্রামের পাঁচ, জয়পুরহাটের এক, গোপালগঞ্জের তিন ও ঢাকার সাভারের একটি ইউপি বিনা ভোটে চেয়ারম্যান পেতে যাচ্ছে। এ নিয়ে পাঁচ ধাপে মোট ৩৩৫ ইউপি বিনা ভোটে চেয়ারম্যান পেল।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও বিনা ভোটের চেয়ারম্যান পেয়েছে ১০০ ইউপি। এ ছাড়া প্রথম ধাপে ৭২ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৮১ জন একক প্রার্থী হিসেবে ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, এর আগে ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন ২১৭ জন। ২০১১ সালে কারো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই। ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে ৩৭ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে চারটি ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘটনা ঘটে। ১৯৮৮ সালে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ১০০ জন।
0 Comments