কানাডার ২ বছরের ওয়ার্কপারমিট ভিসার নাম করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভিসা প্রসেসিং-এর কাজ করে চলেছে।
আপনাদেরকে বিভিন্ন ভাবে প্রোলভোন দেখিয়ে ফোন আলাপ করে কোম্পানিতে আসতে বলবে ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার জন্য। আর মেডিকেল করার জন্য।
এছাড়াও অসাধু ব্যবসায়ীরা এটাও বলে কানাডাতে গিয়ে সকল টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। ছয় মাস চাকরি করে প্রতিমাসে টাকা দিতে পারবেন। আপনার স্যালারি হবে ১ লক্ষ ৪০ হাজার সর্বনিম্ন। তাহলে আর চিন্তা কি আজই ডকুমেন্টস জমা দিয়ে মেডিকেলটা করে ফেলুন। আমাদের এক কথা "আগে ভিসা পরে টাকা "
মেডিকেল বাবদ ৮৫০০/- টাকা থেকে শুরু করে ১০০০০/- টাকা পর্যন্ত চাইবে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা সাধারণ মানুষকে এটাও জানাবে আপনাদের যদি মেডিকেল রিপোর্টে অথবা কোম্পানি দ্বারা কোনো সমস্যা হয় তাহলে এই ৮৫০০/- ফেরত পাবেন। এটাই তাদের ব্যবসা।
সাধারণ গরিব মানুষের জীবনের জমানো টাকা নিয়ে এবং তাদের কে প্রতাশা দিয়ে প্রতারণা করে।
বাংলাদেশে অনেক গরিব মানুষ আছে যারা নিজেদের গরু,ছাগল বেচে দিয়ে অনাথ সন্তান, এতিম সন্তান, বাপ মরা মায়ের একমাত্র সম্ভল,এমন অনেকেই এই ৮৫০০/- টাকা নিয়ে কোম্পানিতে জমা দেয়।আর এই অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য মানুষ গুলোর সাথে প্রতারণা করে।
এমনটা করে দিনের পর দিন প্রতারণা করে চলেছে এরা।
আগে দালাল-রা টাকা নিয়ে ভিসা করে দিবো বলে গরিবের টাকা মারতো।
আর আজকাল উন্নত মানের স্থানে কোম্পানি খুলে ভিসা প্রসেসিং এর নাম করে প্রতারণা চলে।
উপযুক্ত প্রমাণ না দেখে কারো কথা শুনে কোনো কোম্পানিকে বিশ্বাস করবেন না। কোম্পানির কাছে প্রমাণ দেখতে চান, তারা কত জনকে ভিসা দিয়েছে, তারা কোন ফ্লাইটে লোক পাঠিয়েছে, কবে পাঠিয়েছে,তাদের কানাডার উকিলের নাম কি, উকিলের ফোন নম্বর চান,এছাড়া ঐ কোম্পানির সকল তথ্য নিয়ে একটু কষ্ট হলেও সাধারণ জনতা আপনারা প্রোভাসী কল্যাণ সংস্থার সাথে কথা বলুন।
সমাজের এসকল প্রতারকদের কথায় নিজের জীবনের ৩টি মাস এবং নিজের কষ্টের ৮৫০০/- টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হবেন না।আমরা বাঙ্গালি, আমরা সহজ সরল।আর আমাদের এই সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে বাংলাদেশেরই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

0 Comments