২০২৫ সালে যাওয়া উচিত বিশ্বের এমন ১০টি দেশের তালিকা

 

ক্যামেরুন

সত্যি বলতে দেখার মতো জায়গা, জিনিসের অভাব নেই দেশটিকে। এখানকার সাদা বালুর অসাধারণ সব সৈকত, ছোট ছোট দ্বীপ, চিরসবুজ বন, আগ্নেয়গিরি, শুকনো জমির মাঝখানে হঠাৎই ছেদ টানা বিচিত্র কাঠামোর সব পাথর—এ সবকিছুই আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।


হাতি, সিংহ, গন্ডার, জলহস্তী, জিরাফসহ আফ্রিকা মহাদেশে দেখা মেলে এমন বেশির ভাগ প্রাণীই পাবেন দেশটিতে। জাতিগত এবং ভাষাগত দিক থেকেও এটি বিপুল বৈচিত্র্য বুকে ধারণ করে আছে। ২৫০টির মতো স্থানীয় ভাষা আছে এখানে। প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক স্থিতিশীল। অর্থাৎ পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর সময় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হয় না।

লিথুয়ানিয়া



বাল্টিক সাগরে তীরে অবস্থান ইউরোপের এ দেশটির। মন জুড়িয়ে দেওয়া সব সাগরসৈকত, গাছপালায় ঠাসা অরণ্য এখানকার বড় আকর্ষণ। সব সময় কোনো না কোনো উৎসব লেগেই থাকে। কাজেই বেড়াতে গিয়ে একঘেয়েমি পেয়ে বসবে না। এমনিতে উত্তর ইউরোপের সীমানায় পড়লেও মহাদেশের মধ্যবিন্দু পড়েছে এখানেই।

ফিজি



ওশেনিয়া মহাদেশের এ দেশটি ৩০০টি দ্বীপের সমন্বয়ে গড় উঠেছে। এখানকার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সমুদ্রের তলদেশের মনোমুগ্ধকর প্রবাল রাজ্য, এবং আকর্ষণীয় সংস্কৃতি অন্বেষণ করার জন্য পর্যটকেরা ছুটে আসেন।


লাওস



দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র ল্যান্ডলকড বা স্থলভাগ ঘেরা দেশ এটি। লাওসের জিয়েন খোয়াং এলাকায় ছড়িয়ে আছে বিশাল আকারের সব পাথরের পাত্র।


প্লেইন অব জারস নামে পরিচিত এই পাত্রগুলোর উচ্চতা তিন থেকে ১০ ফুট। সর্বোচ্চ ওজন ১৪ টন। এ ধরনের ২ হাজারের বেশি পাত্র বা জার আছে এলাকাটিতে। লাওসের প্রতি পর্যটকদের বড় আকর্ষণ প্রাচীন এ পাত্রগুলি।

কাজাখস্তান



২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটারের কাজাখস্তান আয়তনে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম দেশ। এত বিশাল দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা ২ কোটিরও কম। চারপাশে ভূ-ভাগ দিয়ে ঘেরা দেশকে বলা হয় ল্যান্ডলকড দেশ। আর কাজাখস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যান্ডলকড কান্ট্রি। বিস্তীর্ণ স্তেপস বা সমতল ঘাসসমৃদ্ধ এলাকা, মরুভূমি এবং পর্বতমালা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে দেশটি। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এখানে। এদের মধ্যে কাজাখরা ঐতিহ্যগতভাবে যাযাবর।

প্যারাগুয়ে



অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন দেশের তালিকায় ছয়ে আছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে। মোটামুটি মহাদেশের মাঝখানে অবস্থিত হওয়ার পরও পর্যটকদের কাছে অনেকটাই অচেনা দেশটি। অনেক পর্যটকই খুব বিখ্যাত দ্রষ্টব্য স্থান না থাকাতে এখানে আসতে খুব একটা আগ্রহী হোন না। তবে যারা খাঁটি দক্ষিণ আমেরিকা ভ্রমণের আমেজ পেতে চান তাদের জন্য আদর্শ প্যারাগুয়ে।

প্যারাগুয়েতে পাহাড়-জঙ্গলের অভাব নেই। তবে এখানে কোনো উপকূল রেখা পাবেন না। তবে তাতে পানিকে উপজীব্য করে নানা ধরনের খেলা ও উৎসবে কোনো বাধা পড়েনি। এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে দেশটির অগণিত সংখ্যক নদী এবং হ্রদ।

ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো


ক্যারিবীয় অঞ্চলের খুব সুন্দর এই দেশ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো। ত্রিনিদাদে আদিম ম্যানগ্রোভ জলাভূমি, সবুজ অরণ্যে ঢাকা পাহাড়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছে অনবরত ধোঁয়া ছাড়তে থাকা তেল শোধনাগার এবং শিল্প এলাকা।

টোবাগোতে একটি ক্যারিবীয় দ্বীপে যা যা থাকা দরকার সবই আছে। সাদা বালুর রাজ্যে দাঁড়িয়ে থাকা পাম গাছ এখানকার বড় আকর্ষণ। পর্যটকের চাপও এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করতে পারেনি।

ভানুয়াতু



প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ৮০টির বেশি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে ভানুয়াতু। কোলাহলহীন সৈকত, পুরোনো সংস্কৃতি, দুর্গম সব দ্বীপ এবং সাগর তলে ডাইভারদের অসাধারণ সব দৃশ্য দেখার সুযোগ মিলিয়ে এটি লোনলি প্ল্যানেটের অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন দেশের লিস্টিতে আছে আটে।

এমনকি সাগরের নিচে ঝাঁপ দিয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরন দর্শনের সুযোগ আছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশটির পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Click to seeTravel Site

Post a Comment

0 Comments