শেষ বিকেলে পাহাড় থেকে নেমে এসে সমুদ্রের ঢেউয়ে আলতো করে হাত বুলিয়ে গেল সুর্য। সেই খুশিতে যেন চক চক করে উঠল সমুদ্র।
এ যেন সূর্য, পাহাড় ও সমুদ্রের মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়ার এক অপরুপ মূহুর্ত। নোনাজলের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে পাহাড়ের পাদদেশে। তার উপর খেলা করছে পড়ন্ত বিকেলে পশ্চিমে হেলে পড়া সূর্যের সোনালী রোদ।
তেজ কমে যাওয়া সূর্যের সোনালী আলোকচ্ছটা দীর্ঘ বেলাভূমিতে সোনা ছড়িয়ে রেখেছে। আবার পাহাড়ের উঁচুতে কাশফুলের সঙ্গে সূর্যের নিবিড় সখ্যতায় সৃষ্টি হয়েছে এক বিশাল ক্যানভাস। আকাশের নীল ক্যানভাসে রঙতুলির কাজ করছে এক ঝাঁক গাঙচিল। তাদের উড়ে চলা সমুদ্রঘেঁষা আকাশের অসীম নীলিমায়।পর্যটকরা জানালেন, দরিয়ানগরের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়েই বারবার তারা ছুটে আসতে চান এখানে। পাহাড়ের নির্জনতা আর সমুদ্রের বেলাভূমিতে পা ফেলে এক ভিন্ন আনন্দ উপভোগের সুযোগ রয়েছে এখানে।
পর্যটক আর উদ্যোক্তাদের মুখ থেকেই জানা গেল এখানকার নিরাপত্তার কথা। পাহাড়ের জঙ্গলে সরু গলিপথে রয়েছে টুরিস্ট পুলিশের পাহারা। এছাড়া পথ দেখাতে রয়েছে একদল নারী পথ নির্দেশক। পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দ আরও উপভোগ্য করে তুলতে এই পথ নির্দেশকরা সব সময় এখানে থাকেন।
দরিয়ানগরে কর্মরত পথ নির্দেশক সুইটি আকতার জানান, এখানে পর্যটকেরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। পাহাড় ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে সরু পথ। মাঝে-মধ্যে বিশ্রামের জন্য তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট ছনের ঘর। পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপিত ‘কবি টং’-এ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। এখানে নব দম্পতিদের জন্য মধুচন্দ্রিমার ব্যবস্থাও রয়েছে।

0 Comments