শুধুমাত্র দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই - পোস্টারে কথাটি যখন পড়লাম তখন অনেক বেশি অবাক হয়েছি। অবাক হয়েছি এটা ভেবে যে, শিক্ষার হার ঠিকই বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না কর্ম সংস্থা । কমছেনা খাদ্যের কষ্ট !!!
শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই—এমন লেখা সংবলিত একটি পোস্টার দুই দিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছিল। বলা যায় পোস্টারটি ফেসবুকে একপ্রকার ভাইরাল হয়ে গেছে।
সকাল ও দুপুরের খাবারের বিনিময়ে তিনি পড়াবেন। এ ছাড়া তিনি লিখেছেন, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গণিত ব্যতীত সবকিছুই পড়াবেন। সেই পোস্টারে নিজের পেশা হিসেবে লিখেছেন ‘বেকার’। এতে তাঁর নাম ও মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। নিজের পোস্টারটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনের তাগিদে এই পোস্টার লাগিয়েছি। আমার বন্ধুদের অনেক দিন হলো টিউশনির কথা বলছি, কিন্তু তারা দিতে পারছে না। এর মধ্যে আমি একটা টিউশনি পাই। সেখানে দেড় হাজার টাকা বেতন দেয়। কিন্তু এই টাকা দিয়ে হয় না। আমার পরিবারের অবস্থাও ভালো না।’
কবির (যিনি পোস্টারটি লাগিয়েছেন) বলেন, ‘আমি চাচ্ছিলাম নিজে কিছু একটা করি। আমার এই টাকা দিয়ে হচ্ছে না। আমাকে মাঝেমধ্যেই ঢাকায় যেতে হয়, পরীক্ষা দিতে। আমার কিছু জমানো টাকা ছিল, যা দিয়ে বেশ কয়েকবার ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। এখন ধার-দেনা করে চলছি। অনেক ঋণের মধ্যে আছি আমি। গত মাসে একাধিকবার (বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার) ভাইভা দিতে ঢাকায় যেতে হয়েছে। অনেক টাকা খরচ হয়েছে।’
দুই বেলা ভাতের বিনিময়ে যিনি পড়াতে চান, সেই আলমগীর থাকেন কোথায়? মেসে? না, একটি বাসায়। আগে মেসে থাকতেন। কিন্তু চলতে কষ্ট হচ্ছিল। মেসে থাকা-খাওয়ার জন্য তো অনেক টাকা দরকার। তিনি তখন চাকরির কোচিং করতেন। তাঁর সঙ্গে একটি মেয়ে পড়তেন। তাঁদের বাসা তাঁর মেসের পাশেই ছিল। ওই মেয়ের পরিবার সেখানে বেশি থাকে না। এখানে সব ভাড়া দিয়ে তাঁরা ঢাকায় থাকেন। কবির সেই মেয়েকে তাঁদের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। মেয়েটি তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলেন কবিরকে। তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বললে তিনি কবিরকে থাকার জায়গা দেন। সেখানেই এখন থাকেন তিনি। তাই মাথার ওপর একটা ছাদ থাকলেও তিন বেলা খাবারের সংস্থান নেই তাঁর। এ জন্যই তাঁর এই বিজ্ঞাপন।
সত্যি বলতে, বাংলাদেশে বর্তমানে ১০০ পরিবারের মধ্যে ৮০ পরিবারেই এই সমস্যা । মিস্টার কবিরের মত লক্ষ্য বেকার আছে যাদের জীবনযাপন করাটা এখন কঠিন । কোথাও ইন্টারভিউ অথবা সরকারি পরীক্ষা দিতে গেলে অনেক গুলো টাকার খরচ হয় ,আর এরজন্যেও অনেকে আছেন পরীক্ষাটি দিতেও যেতে পারেন না ।
আজ হয়তো মিস্টার কবর পোস্টার লাগিয়ে নিজের সমস্যা তুলে ধরেছেন,কিন্তু এই দুর্দশায় আছে অনেক পরিবারের যোগ্য মেধাবী সন্তান !!!!
প্রতিবেদন
সুহাতাবিল হক
3 Comments
খুবই দুক্ষজনক
ReplyDeleteKhub Karap laglo
ReplyDeleteখুবই দুক্ষের বিষয়।
ReplyDelete