শেরপুর জেলার বিশাল অংশজুড়ে গারো পাহাড়ের বিস্তৃতি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ে গজনীর অবস্থান। লাল মাটির উঁচু পাহাড়। পাহাড়ি টিলার মাঝে সমতলভূমি। দুই পাহাড়ের মাঝে পাহাড়ি ঝর্ণা ছন্দ তুলে এগিয়ে চলছে। ঝর্ণার পানি এসে ফুলে-ফেঁপে উঠছে। সেখানে বাঁধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম লেক। লেকের মাঝে কৃত্রিম পাহাড় এবং পাহাড়ের ওপর ‘লেক ভিউ পেন্টাগন’। সেখানে যাতায়াতের জন্য রয়েছে দোদুল্যমান ব্রিজ। পাহাড় চূড়ায় রয়েছে ৮ কক্ষবিশিষ্ট বৈদ্যুতিক সুবিধাসহ আধুনিক দোতলা ‘রেস্টহাউস’। যে রেস্টহাউস থেকে পাহাড়ের পাদদেশে নামার জন্য আঁকাবাঁকা তিন শতাধিক ধাপবিশিষ্ট ‘পদ্মসিঁড়ি’ রয়েছে। পাদদেশে শান বাঁধানো বেদিসহ বিশাল বটচত্বর। সেখানে সুপরিসর গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধাসহ পিকনিক দলগুলোর আড্ডায় মেতে ওঠা ও খেলাধুলারও প্রচুর জায়গা রয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য বেশ কয়েকটি নলকূপ, ওয়াশরুমসহ পর্যটন সেবা কেন্দ্র রয়েছে এবং নামাজের জন্য মসজিদ, পর্যাপ্ত স্যানিটেশন সুবিধা ও রান্নাবান্নার ব্যবস্থাও রয়েছে।
যদি দল বেঁধে যেতে চান
আর হ্যাঁ যা মনে রাখতে হবে, গজনী অবকাশ কেন্দ্রের রেস্টহাউসে রুম ব্যবহার করতে চাইলে (কেবল দিনের বেলার জন্য, রাত্রি যাপন নিষিদ্ধ) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত শাখা থেকে পূর্বানুমতি ও বুকিং নিতে হবে। প্রতি কক্ষের জন্য ভাড়া ৫০০ টাকা, একই সঙ্গে অবকাশ কেন্দ্রে গাড়ি প্রবেশের জন্য বাস-কোচ সাড়ে ৩০০ টাকা, মাইক্রোবাস-কার ২০০ টাকা, মোটরসাইকেল ৩০ টাকা দিয়ে গেট পাস নিতে হবে। আর অবকাশ কেন্দ্রে টাওয়ারের জন্য জনপ্রতি ১০ টাকা, শিশুপার্কে ১০ টাকা, প্যাডেল বোট ৩০ মিনিটে ৪ জনে ৬০ টাকা, পানসিতরী নৌকায় জনপ্রতি ১০ টাকা, পাতালপুরীতে ৫ টাকা প্রদর্শনী ফি রয়েছে, জিপ লাইনিংয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়ার ফি ৩০ টাকা, ঝুলন্ত ব্রিজে জনপ্রতি ১০ টাকা, ক্যাবলকার জনপ্রতি ২০ টাকা ও চুকুলুপি চিলড্রেন পার্কে ট্রেন ভ্রমণ ৩০ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে আনন্দ পার্কে সাম্পান নৌকা।
0 Comments